নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- যুগে যুগে সভ্যতাকে সান দিয়ে দিয়ে আজকের পৃথিবীর সভ্যতা যখন আধুনিক থেকে আধুনিকতর অবস্থায় পৌঁছিয়ে যাচ্ছে, গত কালকের আবিস্কার যখন আজকের নতুন আবিষ্কারের কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ের কষ্টিপাথরে পশ্চিম বাংলার আধুনিক মাদ্রাসা শিক্ষাকে যাচাই করা যায়, তবে অনেক বড়ো যন্ত্রণার ছবি ফুটে ওঠবে ! পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা মাদ্রাসা পূর্ণ মন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি যদি এক বারের জন্য এই মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়ন চাইতেন তাহলে তাঁর সরকার অনুমোদিত এই বাংলার ২৩৫ টি আন-এডেড মাদ্রাসা ও মাদ্রাসায় ৮ বৎসর যাবৎ কর্মরত ২৫০০ শিক্ষিত বিকলাঙ্গ বেকার গুলির দুমুঠো পেটের ভাতের ব্যবস্থা করে দিতে পারতেন। এই শিক্ষিত কর্মরত বেকাররা যদি জানতো তাদের এই অবস্থা হবে ২০২০ সালের শেষ লগ্নে এসেও, তাহলে হয়তো ২০১৩ সালে এই এই ধরনের মহাভূল করতেন না। তাদের চরম অন্যায় হয়েছে ….. সংখ্যালঘু অনগ্রসর জাতির সন্তান – সন্ত্রতীদের উন্নত শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার করে!
West Bengal Recognized Un-Aided Madrasa Teachers Association
আজ একটা কথা বলতে ও ভাবতে খুব কষ্ট হয় পশ্চিম বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলের বুদ্ধিজীবিরা এক সঙ্গে ও একবাক্যে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ কেন যে করেন না ? তার উত্তর পেলাম না। যদিও কোন বুদ্ধিজীবি এগিয়ে আসেন তো অধিকাংশই নীরব থাকতে পছন্দ করেন যদিও বা বিগত বছর গুলিতে একাধিক বার দৈনিক পত্রিকা গুলিতে আন-এডেড মাদ্রাসা সম্বন্ধে অনেক লেখা লেখি হয়েছে তবুও জানিনা কেন বা কি কারণে বুদ্ধিজীবী মহল নীরব রয়েছে ?
আধুনিকতর শিক্ষা যেখানে প্রতিটি শিশুর অধিকার, সেখানে সংখ্যালঘু দরদী সরকার নামে পরিচিত সরকার কেন আজ সংখ্যালঘুদের আধুনিক শিক্ষার বিষয়ে এতো অনিহার মধ্যে রয়েছে এর সূত্র বের করে অবশ্যই যতো দ্রুত সম্ভব এই মারণ ব্যাধির সমাধান করতে হবেই হবে। যার জন্য পশ্চিম বাংলার প্রথম শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রয়োজনে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সদর্থক আলোচনা করতে হবে। কোন জাতি শিক্ষার অন্ধকারে রয়ে কখনোই সেই দেশ উন্নয়নের চরম শিখরে পৌছাতে পারে না।
সংগঠনের সভাপতি জাভেদ মিঞাদাদ বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কে অনুরোধ করছি,আমরা আপনার সঙ্গে কি অন্যায় করেছি বলুন ? আমরা কথা দিচ্ছি আমরা কোন ধরনের অন্যায় কাজ করলে আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । কিন্তু আমরা আর পারছি না, ২০১৩ সাল থেকে ভুখা পেটে আর থাকতে পারছি না। আমাদের উপর সহৃদয় হউন এবং মুক্তি দিন। তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি অবিলম্বে আমাদের বেতনের নোটিফিকেশন জারি না করেন তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই নবান্ন অভিযানে নামতে বাধ্য হব এবং এর জন্য দায়ী থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি মহাশয়া”। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শ্রী পলাশ রোমের আরো বলেন , “রাজ্য সরকার যদি এই মাদ্রাসা গুলির উন্নতি না করতে চান তাহলে সরকার নোটিফিকেশন বের করে মাদ্রাসা গুলি বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে আমরাও এই দীর্ঘ নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাই অন্যথায় আমরা দাবি আদায়ের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..
For Latest Update Follow Us on