দায়বদ্ধতা কার বেশি সরকারি আমলাদের না মনোনীত জনপ্রতিনিধিদের ?
প্রশ্ন উঠছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছ থেকে ।
সমাজকে সচল রাখা তথা দিশা দেওয়ার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা ন্যস্ত থাকে আধিকারিকদের হাতে। এনারা নির্বাচিত হন এনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার উপর। বিপুল ক্ষমতা দেওয়া হয় পরিকল্পনার বাস্তবায়নে তথা জনতার সাংবিধানিক অধিকার যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে তার ব্যবস্থা দানে। সমাজের সার্বিক উন্নতি সাধন এর দায়িত্বভার আধিকারিকদের কাঁধেই বর্তায়।
অপরপক্ষে জনপ্রতিনিধি তারা জনতার প্রতিনিধিত্ব করবেন। দেখবেন এবং সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণে অংশীদারিত্বও করবেন। এটাও সুনিশ্চিত করবেন যে সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে এবং সঠিক পাত্রে প্রদান করা হচ্ছে।
বাস্তব চিত্র সে কথা বলে না। শিক্ষিত যুব সমাজের মুখে প্রায়সই শোনা যায়, এ সমাজ তো আমরা চাইনি। সমাজের প্রায় সমস্ত স্তরের মানুষের আগামী কে নিয়ে তারাবি তো তারা সন্ত্রস্ত, এ কেমন রাজনীতি? যা সমাজের মেরুদন্ড কুরে কুরে খাচ্ছে, ক্রমশ গ্রাস করে নিচ্ছে সব।
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে সেইসব আওয়াজের গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করা হচ্ছে। হিংসার রাজনীতি, ধর্মীয় রাজনীতি, শিক্ষায় রাজনীত্ স্বাস্থতে রাজনীতি এমনকি স্বামী স্ত্রীর মাঝখানেও রাজনীতির কালো ছায়া গ্রাস করছে।
মহামান্য ন্যায়ালয় এর নজরদারিতে জনগণ একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, আশ্বস্ত হচ্ছেন অনেকে। আমলা ও জনপ্রতিনিধিরাও এগিয়ে আসুক এবং সুস্থ সমাজ গড়ার নবজোয়ার শুরু হোক।
For Latest Update Follow Us on