নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- আজকাল অনেক মানুষজনকে বলতে দেখা যায় যে, Google ই হল Best Teacher। পৃথিবীর সমস্ত অজানা তথ্যভান্ডার আজ একটা ক্লিকেই হস্তগত। বইও ছিল আগে। সেখান থেকেও জানা যেত। কিন্তু বই পড়া বা Google Search দিয়ে তথ্য আহরণ করা গেলেও সেটা জ্ঞানে পরিণত করতে গেলে ধীরে ধীরে আধার তৈরী করতে হয়। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষের কবিতায় Knowledge আর Wisdom এর তফাৎ বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেই আধার তৈরীর কাজ করেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা হলেন জাতির পিতা। একজন শিক্ষকই পারেন একজন ছাত্র ও ছাত্রীকে সঠিক পথে এনে সঠিক দিশা দেখাতে।
Google vs Teacher
Value Based System এর যে কথা আজকাল বলা হচ্ছে সেটাই আসলে পাঠশালা, টোলে শিক্ষক বা পন্ডিতমশাইরা প্রাচীন যুগ থেকে ছাত্রদের শিরা ধমনীতে নিহিত করে দিতেন। প্রাচ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারিক নয় বলে সমালোচিত হলেও তা যে প্রকৃত মানুষ গড়ে তোলার কাজটিকে সুচারু রূপে গুরুকুলে সমাধা করে তাতে কোন দ্বিমত নেই।
প্রকৃতিই হল সব থেকে বড় জ্ঞানভান্ডার আর তার মধ্যে বিচরণের খুঁটিনাটি ছোট থেকেই শিশুদের শেখান তার মা-বাবা। তাই প্রথম শিক্ষক হলেন পিতা মাতা। আজ শিক্ষক দিবসে পিতা মাতা ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিনে তাঁরই ইচ্ছায় শিক্ষক দিবস পালনের সূচনা হয়েছিল। একজন শিক্ষকই পারেন একজন ছাত্রছাত্রীকে প্রকৃত মূল্যবোধে দীক্ষিত করতে। বতর্মানে সমাজের মূল্যবোধ অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে। এর পরিনামে সমাজ ক্রমশ কলুষিত হচ্ছে। সমাজকে সঠিক পথে আনতে পারে একমাত্র শিক্ষকই। Google থেকে তথ্য পাওয়া গেলেও প্রকৃত শিক্ষা দিতে পারে একজন শিক্ষকই। একজন শিক্ষকই পারেন একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে সঠিক পথে আনতে। যা Google পারে না।
তাই প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের উচিত শুধু আজকে দিন নয় বছরের প্রতিটি দিন শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দেওয়া এবং উনাদের কথা ও পরামর্শ মেনে ভবিষ্যৎ জীবনে এগিয়ে চলা।
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..