নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- প্রকৃত উন্নয়ন তখনই পরিলক্ষিত হয় যখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সমাজের বুকে প্রতিফলিত হয়। সেকুলার দেশে সম্প্রদায় ভিত্তিক উন্নয়নের পক্ষে আমরা, ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যসোসিয়েশন, নই। কিন্তু সমাজের ভারসাম্য রক্ষার্থে একটি সম্প্রদায় যখন ক্রমাগত শিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত তখন সেই সরকারের উচিত শিক্ষার আলো ছড়িয়ে সেই সমাজকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা।
এটাই চরম সত্য। বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আসার জন্য সংখ্যলঘুদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বর্তমানে মাননীয়ার কাছে দুধেল গাই।
মাননীয়া বাংলায় ক্ষমতায় আসার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত মাদ্রাসা ছিল অনধিক 614 কিন্তু আজ 10 বছর পূর্তিতে সেই সংখ্যাটি তথৈবচ। অথচ এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের শিক্ষকতা করেন ও ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা করেন।
মাননীয়ার রাজত্বকালে 10 বছরে সংখ্যলঘু শিক্ষার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি 235 টি আন-এডেড মাদ্রাসার অনুমোদন। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন নেই, ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে-মিল নেই।
সাম্প্রদায়িকতার জুজু দেখিয়ে এটা কি সংখ্যালঘুদের সহিত প্রবঞ্চনা নয়?
কোন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল বিভাজন ছড়ালে যদি সম্প্রদায়িক হয়, তবে বাংলার বর্তমান সরকার একটি সম্প্রদায় কে ক্রমাগত শিক্ষা ও চাকরি থেকে বঞ্চনা করে ক্রমাগত অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া কি সাম্প্রদায়িকতা নয়?
এই দ্বিচারিতা-প্রবঞ্চনা চলতে থাকলে স্তিমিত আগুন স্ফুলিঙ্গে পরিণত হতে বাধ্য হবে এবং তার দায় শিক্ষাদপ্তরের (মাদ্রাসা) পূর্ণমন্ত্রী কেই নিতে হবে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সেখ জাভেদ মিঞাদাদ বলেন,”মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিজে মাদ্রাসা দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রী হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। উনি মন থেকে চান না সংখ্যালঘুদের শিক্ষার উন্নতি হোক। যদি চাইতেন তাহলে এইভাবে আন এডেড মাদ্রাসা গুলোকে ধ্বংস করে দিতেন না।”
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শ্রী পলাশ রোম বলেন,”মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই এই মাদ্রাসা গুলি আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবে। কিন্তু উনার সেই মানসিকতাই নাই। তাই আমরা আমাদের বেতন আদায় করতে খুব শীঘ্রই বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছি যা মাদ্রাসা আন্দোলনে এক ইতিহাস রচনা করবে”
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..
For Latest Update Follow Us on