নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- সামনে ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মন পেতে বিভিন্ন পরিকল্পনায় ব্যস্ত। কিছু আগে পুরোহিতদের সমর্থন পাওয়ার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোহিতদের জন্য ভাতা ব্যবস্থা করেছেন। এদিকে রাজ্যে সংখ্যালঘুরা ক্রমশ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বিভিন্ন ইসুকে কেন্দ্র করে দূরে সরে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন। আজ দিনের অনেকটা সময় কাটালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ হুগলীর ফুরফুরা শরীফে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির কাছে । যা নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল অন্য সমীকরণ দেখছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “শনিবার দীর্ঘক্ষণ কাটল হুগলীর ফুরফুরা শরীফে। পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির কাছে। খুব ভালো লাগল।”
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “ক’দিন আগেই তাঁর দাদা কলিমুল্লা সিদ্দিকি প্রয়াত হয়েছেন। মূলত সেই কারণেই যাওয়া।
দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন। এরপর নিজে গোটা এলাকা ঘুরিয়ে দেখালেন। ফুরফুরাতেই নিজে যে মসজিদটি করেছেন পীরজাদা, তার পাশে নিজের এবং স্ত্রীর কবর আগাম কেটে রেখেছেন। ইঁটও জোগাড় করে রেখেছেন। নিজে এখন রোজ নমাজ পড়েন ওখানে।”
পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির বললেন,” আমার আসল ঘর তো হবে এটাই। আমি নিজেই সেটা করে রেখে গেলাম।”
পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির আরো বলেন,”বিশাল চত্বরের সামান্য কিছু নিজের ছেলেমেয়ের জন্যে রেখে বাকি অনাথদের জন্য দান করেছেন । ”
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন,গভীর আন্তরিকতায় সুন্দর স্মারক উপহার দিলেন পীরজাদা।
যাইহোক তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির এই দিনের দীর্ঘক্ষন বৈঠকের মধ্যে অন্য সমীকরন আছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন। এখন দেখার বিষয় ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি কাকে সমর্থন করেন তা দেখার বিষয়। অপরদিকে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি উঠে এসেছে। গত লোকসভায় নিবার্চনে ১৮ টি সিটে জয়লাভ করে বিজেপি বুঝিয়ে দেয় যে তাঁরা ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মসনদ দখল করতে চলেছে। তবে সময়ই শেষ কথা বলবে।
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..