আজ রাজ্য জুড়ে খুশির ইদ পালিত হচ্ছে।কিন্তু এই খুশির দিনেও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টেট পাস চাকরী প্রার্থীরা ভালো নেই।আজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় “ফিরিয়ে দিন অধিকার” দাবীতে ফের একবার প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুললো! করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আন্দোলন করা কাযর্ত সম্ভব নয়।তাই আজ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীরা রীতিমতো রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যে তারা এর আগেও রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্য মন্ত্রী ফেসবুক ওয়ালে তাদের দাবী জানিয়েছে।
কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। তারা বিরোধী দলের সাংসদের হোয়াটসঅ্যাপেও তাদের দাবী জানিয়েছে। কি তাদের অভিযোগ?প্রাথমিক টেট পাশ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত( ২০১৫_২০১৭) চাকরি প্রার্থী , সেকেন্দার আলী, মীরকাসীম সেখ অভিযোগ করে বলেন, সংবাদমাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের পরেই নিয়োগে প্রশিক্ষণরতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেই অনুযায়ী ২০১৪-২০১৬ ও ২০১৫-২০১৭ এই দুটি ব্যাচই প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ছিলো, কিন্তু সরকারী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে পর্ষদ অর্ধপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগে সুযোগ না দিয়ে প্রচুর অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী নিয়োগ করেছে। পরবর্তীকালে একটা বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে ২০১৪-২০১৬ ব্যাচ ও RCI স্বীকৃত ২০১৫-২০১৭ ডি এড ব্যাচকে নিয়োগ পর্বের আওতায় আনা হলেও পর্ষদ বেআইনিভাবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অধীনস্থ ২০১৫-২০১৭ ব্যাচকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করেছে।” টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষিত প্রার্থী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে আর একজন প্রার্থী হাসিবুল রহমান মন্ডল বলেন, বাইরের বোর্ড থেকে যারা ১৫-১৭ সেশনে ট্রেনিং করেছে পর্ষদ তাদেরকে চাকরি দিয়ে দিয়েছে অথচ পর্ষদ তার নিজের বোর্ডে থেকে যারা ওই একই সেশনে ট্রেনিং সম্পন্ন করেছে তাদেরকে সেই সুযোগ দেয় নি। বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ভুরি ভুরি অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে।আজ খুশির দিনেও চাকরী প্রার্থীদের মুখে রাজ্য সরকার হাসি ফোটাতে পারলো না।আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ক্যাপশান লিখে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চাকরি প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে।প্রাথমিক টেট পাশ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত( ২০১৫_২০১৭) চাকরি প্রার্থী মীরকাশিম শেখ বলেন,”W.B.B.P.E যথা সময়ে কোর্স কমপ্লিট করলে আমিও কোরবানি দিতে পারতাম। ”
অপর এক চাকরী প্রার্থী সেকেন্দার আলি বলেন,”দিদি আজ আমাদের কোরবানি দেওয়ার মতো সার্মথ্য নাই কিন্তু শিক্ষক হওয়ার সকল শর্ত পূরন করেছি। ” শেষ পর্যন্ত চাকুরী প্রার্থীদের এই আবেদনে তাদের “দিদি” সাড়া দেয় কিনা তা দেখার বিষয়।
Read More
প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণদের মন জয়ে কি ব্যর্থ রাজ্য সরকার ? তবে কি শেষ ভরসা বিরোধী জনপ্রতিনিধিরা ?
For Latest Update Follow Us on