নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০১৫ সালে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ হলেও নিয়োগ হয়নি আজও। তাই আজ চাকুরী প্রার্থীরা পোষ্টার দিলো রাস্তার মোড়ে মোড়ে,বাদ গেলো না নবান্ন। অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হলেও ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাননি চাকুরী প্রার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন ২০১৫ টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকের প্রশিক্ষন যারা নেবেন তাদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে।কিন্তু কথা রাখেননি শিক্ষামন্ত্রী। তাই আজ চাকুরী প্রার্থীরা মাস্ক, স্যানিটাইজার, লিফট লেট বিলি ও পোষ্টার সাঁটো কর্মসূচী নিলেন প্রাথমিকের চাকুরী প্রার্থীরা। চাকুরির জন্য এক দরজা থেকে আর এক দরজা ঘুরেও লাভ হয়নি। ডি.আই অফিসে ডেপুটেশন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন, কখনো জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে ছৌ নাচ এর মাধ্যমে, কখনো নিজেদের যন্ত্রনার কথা বাউল গানের মাধ্যমে তুলে ধরে ও নিজেরা যন্ত্রনার কথা তুলে ধরেছে নাটক ও কবিতার মাধ্যমে।
এতেও কাজ না হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করলে, মুখ ফিরিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাই পুজোর দিনেও যন্ত্রণায় দগ্ধ প্রাথমিকের চাকুরী প্রার্থীরা। “কথা রাখুন শিক্ষামন্ত্রী ” এমনি দাবী জানিয়ে দূর্গা পুজোর আগে মহা পঞ্চমীর দিনে ফের পথে নেমে অভিনব বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক টেট (২০১৫) উত্তীর্ণ D.El.ED প্রশিক্ষিত ঐক্যমঞ্চ।
প্রশিক্ষিত ঐক্য মঞ্চের সভাপতি মিঠুন শেখ ও সম্পাদক রিমন বিশ্বাসের দাবী,২০১৫ আমরা টেট পাশ করেছি। আমরা প্রশিক্ষন রত অবস্থায় ছিলাম। অনেকে শিক্ষা মন্ত্রীর কথা মতো জমি বিক্রি করে,মায়ের গহনা বিক্রি করে প্রশিক্ষন নিয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে প্রাথমিকের প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের। কিন্তু কথা রাখেননি শিক্ষা মন্ত্রী। তাই বাধ্য হয়েই এই অভিনব আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হয়েছে। আর এক চাকুরী প্রার্থী শান্তনু মন্ডলের কথায় চাকুরীটা না পেলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া পথ থাকবে না। এই দাবী পূরণ না হলে আমরা আরো বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবো।
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..
SSC নিয়ে আবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা। বিপাকে পড়তে পারে স্কুল সার্ভিস কমিশন?
For Latest Update Follow Us on