নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- আমরা আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,আমরা পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার (WBSRDA) অন্তর্গত সরকারী স্বশাসিত সংস্থা “সোশ্যাল অডিট ইউনিটের” ২৫০৪০ জন গ্রামীণ সম্পদ কর্মী বা সোশ্যাল অডিট ভিলেজ রিসোর্স পারসন (Social Audit Village Resource Person) সারা বাংলার সকল পঞ্চায়েতগুলিতে ২০১৫ সাল থেকে একটি অর্থবর্ষে মাত্র ১৫ দিন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প যেমন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা গ্যারান্টি প্রকল্প, জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্প, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন প্রকল্প ইত্যাদিতে সামাজিক নিরীক্ষার কাজ করি।
আগষ্ট, ২০১৮ ভেক্টর বর্ণ ডিজিজ বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিমাসে ২০ দিন করে মার্চ ২০২০ সাল পর্যন্ত মাসিক ৩০০০ টাকা (১৫০/ x ২০=৩০০০) মজুরী তে এবং এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩৫০০ টাকা (১৭৫/ x ২০=৩৫০০)মাসিক ভাতাতে বাড়ি সার্ভে, ড্রেন পরিস্কার , আবর্জনা পরিস্কারের কাজ করে আমরা ভীষন রকম অসহায় ও দারিদ্র্য দশায় ভুগছি।
যেখানে একজন মহাত্মাগান্ধী গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে যুক্ত কর্মী দিন প্রতি ২২০/ টাকা মজুরি পায়, আমরা প্রশিক্ষিত যুবকরা ড্রেন পরিস্কার, আবর্জনা পরিস্কার, স্প্রে, গাপ্পি মাছ ছাড়া, লিফলেট বিলি, বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গু উপসর্গের সার্ভে করে, অনলাইন ওয়েব পোর্টালে ডেটা এন্ট্রি করেও ন্যায্য মজুরি পাই না।
আমরা গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। জেলা থেকে সব কাজে ট্রেনিং প্রাপ্ত। আমরা নিযুক্ত হয়েছিলাম নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ দিয়ে। তবুও আমাদের কোনো নিয়োগ পত্র, সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি।আমরা দুমাস দেরীতে হাতে মজুরী পাই।
আমরা সারা মাসে ২০ দিন নয়, ৩০ দিনই জনস্বার্থে পরিষেবা দিতে চাই। আমরা ডেঙ্গু নিধন, সামাজিক নিরীক্ষা ছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েতে শৌচাগার সার্ভে, স্বাস্থ্যসাথী সার্ভে, আবাস যোজনা সার্ভে, পুষ্টি কমিটি সমীক্ষা, জীব বৈচিত্র্য সার্ভে, শস্যবীমা, কৃষকবন্ধু সমীক্ষা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেছি।
বর্তমান সময়ে ডি.এম, বিডিও দের নির্দেশে গ্রামে গঞ্জে রোদ ঝড় জলকে উপেক্ষা করে করোনা প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, বাড়ি বাড়ি শারীরিক অবস্থার খবর নেওয়া, রেশন দোকান ও বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছানো, পোস্টার লাগানো, ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিক পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ প্রভৃতি কাজ করছি।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা ভোট – ২০১৯ এপ্রিল মাসে বিভিন্ন জনসভায় প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, VRP দেরকে মাসিক বেতন কাঠামোর মধ্যে আনবেন ও মাসিক ১২০০০ টাকা বেতনের ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ভি আর পি দের দেওয়া কোন প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। দীর্ঘ একবছরে ভি আর পি নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকে উৎসাহ ভাতা বা ইনসেনটিভ এবং উৎসব ভাতা বা বোনাস থেকে বঞ্চিত করেছেন।
তাই মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাতর অবেদন আমাদের প্রতি মানবিক হন। নাহলে আমারা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আর্জি জানাতে বাধ্য হবো।
বিঃদ্রঃ উপরোক্ত কথা গুলো VRP দের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এর জন্য নিউজ পোর্টাল কোনো ভাবেই দায়ী নয়।
আমরা সকল ভিআরপি অসহায় জিবন যাপন কোরছি