নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। তাই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মসনদে কোন দল ক্ষমতায় আসবে তা অনেকটা নির্ভর করে সংখ্যালঘুরা কোন দলকে সাপোর্ট করছে। এমতাবস্থায় ওয়েস্টবেঙ্গল রেকগনাইজ আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে,সরকার ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য দরাজ কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন যে, রাজ্যে 10000 মাদ্রাসা দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি পালন তো দূরের কথা রাজ্যে 235 মাদ্রাসা দিয়েছেন। তাও আবার আন এডেড হিসাবে।
তখন ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বুঝতে পারেননি যে এই আন এডেড মাদ্রাসাগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মরন কুপ। সংখ্যালঘু উন্নয়ন কারী সরকারের গালভরা প্রতিশ্রুতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেছিলেন এবং লক্ষ লক্ষ টাকার জমি সরকারকে দান করে মাদ্রাসা করেছিলেন। তারপর একটু একটু করে আট বছর হয়ে গেল ও মাদ্রাসা পূর্ণমন্ত্রী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের সব প্রকার অধিকার মিড-ডে-মিল পোশাক অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যূনতম সম্মানটুকু দেননি। মাদ্রাসা গুলিকে তিলে তিলে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন। রাজ্য সরকার মাদ্রাসার কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা তো দেননি তার ওপর কেন্দ্রীয় প্রকল্পের 3 জন শিক্ষকের SPQM টাকা এক বছর দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। অথচ আশ্চর্যের বিষয় মাদ্রাসা গুলিতে নিয়মিত রিনুয়াল এবং সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতে হয়। এ কোন ধরনের দ্বিচারিতা। রাজ্য সরকার কি চান সেটা সংখ্যালঘুদের কাছে স্পষ্ট নয়। সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করতে গেলে আগে শিক্ষার উন্নয়ন করতে হয়। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব জেনে ও মাদ্রাসা শিক্ষাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে ওয়েস্টবেঙ্গল রেকগনাইজ আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষকদের সাম্মানিক এর জন্য সরকার পক্ষের একাধিক দপ্তরে বারবার আবেদন করেছি। সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি এবং কলকাতার রাজপথে একাধিকবার অবস্থান অনশন কর্মসূচি পালন করেছি। ফিরহাদ হাকিম মহাশয় ও অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। তাই আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন ও নবান্ন অভিযান এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছি।”
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..
সামনে 2021 এর বিধানসভার নির্বাচন একদিকে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। কারন ইতিমধ্যে গত লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে এবং 18 টি সিটে জয়লাভ করেছে।মোদী ও অমিত শাহরা পশ্চিমবঙ্গে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া।এমতাবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন ক্রমশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি বীতশ্রদ্ধ বিভিন্ন কারনে।এই পরিস্থিতিতে ওয়েস্টবেঙ্গল রেকগনাইজ আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের দাবী না মানলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে বিড়ম্বনার কারন হয়ে দাঁড়াবে। এখন দেখার বিষয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কি পদক্ষেপ নেন সেই দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।