নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- প্রতিবাদের অনেক রকম ভাষা থাকতে পারে কিন্তু “শুয়োরের বাচ্চাদের কাজ। জানেন তো শুয়োরের বাচ্চা কারা।” একজন অধ্যাপকের মুখের শব্দ চরন হতে পারে? হাঁ ঠিকই পড়েছেন । নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না তো? না হওয়া স্বাভাবিক! এই রকমই ভাষা প্রয়োগ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের Head এবং Assistant Professor সম্রাট সেনগুপ্ত।
এবার দেখা যাক ঘটনা টি কি ঘটেছিল? শমিষ্ঠা দত্ত গুপ্ত নামে জনৈক মহিলা ফেসবুকে পোস্ট করেন যে,” আন্দামান সেলুলার জেলে ফলক বদল! ছিল ৯৬৬ জনের নাম। এখন রইল ৫১৩ জন। বলা বাহুল্য বাদ পড়া ৪৫৩ জনের অধিকাংশই বাঙ্গালী ও কমিউনিস্ট!”
এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও Assistant Professor সম্রাট সেনগুপ্ত ফেসবুকে পোস্ট করে বলেন” শুয়োরের বাচ্চাদের কাজ। জানেন তো শুয়োরের বাচ্চা কারা। ” যে অধ্যাপক মানুষ গড়ার কারিগর সেই অধ্যাপকের সোশ্যাল মিডিয়ার এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ অন্তত্য নিন্দনীয় । কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করার অনেক রাস্তা আছে। কিন্তু একজন অধ্যাপকের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিবাদের ভাষা এটা হতে পারে কি? এই সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান Assistant Professor সম্রাট সেনগুপ্তের মন্তব্য কে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে Nibabari Gargi Banerjee বলেন, “Apni ei dhoroner shobdo proyog korchhen? Jaaner kichhu antel beef lobhi apnar shikhya, culture niye proshno tulte paare? Hya apni jodi pregnant hon, taahole onyo bepar. Sob kichhu korte parben.”
পিকু চৌধুরী বলেন, “Says who? Is this authentic? News channels e bolchhena to. ”
অর্ক চৌধুরী বলেন, “ওদের শুয়োরের বাচ্চা বললে শুয়োরের বাচ্চাদেরকে গালি দেওয়া হয়।”
Soumalya Ghosh বলেন, “ফলক বদলে দেওয়া যায়. কিন্তু মানুষের মন থেকে তাদের মুঝবে কি করে. যদিও তাহারা মনে করেন বাঙালি র কোনো ভূমিকায় ছিল না. কিন্তু তাহারা এটাও ভুলে গেছে যে ইতিহাস এর পাতা গুলো এখনো আছে। ”
যাইহোক প্রতিবাদের বিভিন্ন ধরনের রাস্তা আছে কিন্তু সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান Assistant Professor সম্রাট সেনগুপ্ত এই ধরনের মন্তব্য কাম্য নয়। অধ্যাপক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক হলেন জাতির মেরুদন্ড। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা কুরুচিপূর্ণ কথা বলে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন এবং যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছ। কিন্তু একজন অধ্যাপকের এই ধরণের মন্তব্য কাম্য নয়।
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে পড়তে পারে রাজ্যের প্রায় ১৪,০০০ SACT অধ্যাপক