নিশিকান্ত ভূঞ্যাঃ- দীর্ঘদিন ধরে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ মামলার জালে জড়িয়ে আছে। আবার নতুন করে মামলা কি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বিপাকে ফেলতে পারে? এই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে শিক্ষক নিয়োগ চাকুরী প্রার্থীদের মনে। ২০১২ সালের SSC টেট পাশরা নিজেদের অগ্রাধিকার ও সরাসরি নিয়োগের দাবি জানিয়ে ১৯/১০/২০২০ তারিখে সোমবার দায়ের হলো কলকাতা হাইকোর্ট মামলা।
চাকুরী প্রার্থীরা বঞ্চিত এমনি দাবি করেন। ভেরিফিকেশনেও তাদের ডাকা হয়নি। এই মামলার অন্যতম আইনজীবী দিব্যেন্দু চ্যাটার্জি দাবী করেন ২০১২ সালের টেট পাশ চাকুরী প্রার্থীদের সংশাপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই অনেকে ট্রেনিং সম্পূর্ণ করেছে। সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় অবশেষে মামলার পথে চাকুরী প্রার্থীরা। বার বার কমিশনের দারস্থ হয়েও লাভ হয়নি এমনি অভিযোগ চাকুরী প্রার্থীদের।
চাকুরী প্রার্থী সুশান্ত জানার অভিযোগ, “অবিলম্বে আমাদের নিয়োগ দিতে হবে।আমরা সব দিক দিয়ে বঞ্চিত।আমাদের বয়স বেড়েছে। কমিশন ও কোর্ট বিচার করুক। আমরা এখন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। আমাদের সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করেনি কমিশন। আমাদের নিয়ে সরকারও চিন্তিত নয়। সরকার ২০১৫ নিয়ে সদিচ্ছা দেখালেও, আমাদের নিয়োগের ব্যাপারে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি। তাই আমরা আদালতের দারস্থ হয়েছি,আদালত বিচার করুক।আমরা ন্যায় বিচার পাবোই। আদালতের উপর ভরসা আছে।”
ইতিমধ্যে কমিশন ২০১৫ আপার প্রাইমারী মামলা নিয়ে নাজেহাল। আপার প্রাইমারী শুনানি চলছে। মামলা প্রায় শেষের পথে।টেটে নম্বর বৃদ্ধি,নন ট্রেণ্ড সহ নিয়োগ সহ একাধিক অভিযোগে জেরবার কমিশন। এর মধ্যে ২০১২ সালের SSC টেট পাশ চাকুরী প্রার্থীদের নিয়োগের দাবী আপার প্রাইমারী মামলার শুনানি চলাকালীন এই, মামলা দায়ের হওয়ায় রায় দানের উপর প্রভাব ফেলবে কিনা দেখার। তবে কমিশন নতুন করে চাপে পড়ল এই মামলার ফলে তা বলাই যায়।
সকল খবর সবার আগে ফেসবুকে ফ্রী পেতে চাইলে আমাদের পেজ লাইক করুন। Click Here..
আইনি লড়াইয়ের পথে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যসোসিয়েশন।