দীর্ঘদিন দিন ধরে আপার প্রাইমারি মামলা (UPPER PRIMARY CASE) কলকাতা হাইকোর্ট ঝুলে রয়েছে। এদিকে আপার প্রাইমারি চাকুরি প্রার্থীদের চূড়ান্ত হতাশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। আপার প্রাইমারি চাকুরি প্রার্থীরা এখন কলকাতা হাইকোর্টের মুখাপেক্ষী হয়ে তাকিয়ে আছে। আপার প্রাইমারি নিয়োগ দীর্ঘদিন দিন ধরে মামলার জালে জড়িয়ে আছে ।এর ফলে উচ্চ শিক্ষিত চাকুরী প্রার্থীদের জীবনে হতাশার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই নিয়ে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। যাতে করে আপার প্রাইমারি চাকুরি প্রার্থীদের মনের মধ্যে হাঁসি ফুটবে।একদিকে দিনে দিনে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে কিন্তু বছরের পর বছর নিয়োগ হচ্ছে না। যা নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাংশ আপার প্রাইমারি চাকুরি প্রার্থীরা।
Upper Primary Case: Latest Update
আজ কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয়া বিচারক মৌসুমি ভট্টাচার্যের কাছে আপার প্রাইমারি মামলার শুনানি ছিল।
কমিশনের পক্ষ থেকে মাননীয়া বিচারক মৌসুমি ভট্টাচার্যের কাছে আপিল করে বলেন যে,আপার প্রাইমারি মামলা চলাকালীন কাউন্সিলিং করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও দিব্যেন্দু চ্যাটার্জি হাইকোর্টের বিচারককে জানান, কোনো ভাবেই এই মেরিট লিস্টে নিয়োগ সম্ভব নয়।আগাগোড়া অসংগতিতে পরিপূর্ণ এই মেরিট লিস্ট।এই ভাবে নিয়োগ হলে বঞ্চিত হবে হাজার হাজার চাকুরি প্রার্থী।কারণ কোনো নিয়ম মানা হয়নি প্রথম থেকে।যোগ্যতামান থাকার পরও ভেরিফিকেশন এ ডাক পায়নি অনেকে।ডাক পেলেও আবার অনেকের নাম আসেনি মেরিট লিস্টে।লিস্টে এমন পরীক্ষার্থী রয়েছে,যাদের কোনো ট্রেনিং নেই। টেটে প্রাপ্ত নম্বর এর গড়মিল।তাই কমিশন যতক্ষণ না সব ঠিক করছে ততক্ষণ নিয়োগ নয়। সব শোনার পর বিচারক মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, যতদিন না মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন কাউন্সেলিং করা যাবে না। বিচারক আরও বলেন যে, এই মামলার আরো হেয়ারিং প্রয়োজন কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তিনি কবে কবে বসবেন তার কোন ঠিক নেই। তাই তিনি মামলাকারী চাকুরী প্রার্থীদের আইনজীবিকে বলেন যে, চিফ জাস্টিসের কাছে আবেদন করুন যাতে করে এই মামলার শুনানি কন্টিনিউ করা যায় এবং যত দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় তার জন্য আবেদন করুন। এই দিনে রায় কিছুটা হলেও আপার প্রাইমারি চাকুরির প্রার্থীদের কাছে স্বস্তির খবর। এই প্রসঙ্গে আপার প্রাইমারি চাকুরি প্রার্থী বাপন বিশ্বাস বলেন,” সত্যের জয় একদিন হবে। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” অপর একজন আপার প্রাইমারি চাকুরি প্রার্থী নিশিকান্ত ভূঞ্যা বলেন ” দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ হচ্ছে না। তাই গভীর হতাশার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।” যাইহোক আজকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কিছুটা হলেও আপার প্রাইমারি চাকুরি প্রার্থীদের আশার আলো দেখালো।
আরো পড়ুন
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে পড়তে পারে রাজ্যের প্রায় ১৪,০০০ SACT অধ্যাপক
For Latest Update Follow Us on